Skip to main content

দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের জানাজা।

দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বেলা পৌনে ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক মসজিদ প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, সহকর্মী, গুণগ্রাহীসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেন। তবে করোনার কারণে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে জানাজা সম্পন্ন করতে হয়েছে। দাতব্য সংস্থা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে নুরুল ইসলাম বাবুলকে গোসল করানো হয়।

বনানী কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ দাফন করা হবে। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দাফনের সময় পরিবারের সদস্য ছাড়া কেউ থাকবে না।

জানাজার আগে মরহুমের জন্য দোয়া কামনা করেন তার ছেলে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম। তিনি তার বাবার পক্ষ থেকে সবার কাছে ক্ষমা চান। পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে তার কাছে ব্যবসায়িক ও নিজস্ব কোনো দেনা-পাওনা থাকলে তাও পরিশোধ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

গত ১৪ জুন নুরুল ইসলাম বাবুলের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিনই তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনায় তার কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশিষ্ট এই শিল্পোদোক্তার চিকিৎসায় এভারকেয়ারের চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুদের নেতৃত্ব ১০ সদস্যবিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর বাইরে চীনের চারজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সিঙ্গাপুরের মাউন্ড এলিজাবেথ হাসপাতালের দুজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে পরামর্শ দিয়েছেন।

তার স্ত্রী সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বর্তমান জাতীয় সংসদের সদস্য সালমা ইসলাম। ছেলে শামীম ইসলাম যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, তার তিন মেয়ে- রোজালিন ইসলাম, মনিকা ইসলাম এবং সনিয়া ইসলাম যমুনা গ্রুপের পরিচালক।

যমুনা গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রুপ। ১৯৭৪ সালে নুরুল ইসলাম বাবুল যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। মেধা, দক্ষতা, পরিশ্রম ও সাহসিকতার মাধ্যমে একে একে শিল্প ও সেবাখাতে গড়ে তোলেন ৪১টি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ কাজ করছে এই যমুনা গ্রুপে।

এশিয়ার সবচেয়ে বড় শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্ক, যমুনা নির্মাণাধীন মেরিয়টস হোটেলসহ শিল্প ও সেবাখাতে শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে গ্রুপটি। ইলেকট্রনিক্স, বস্ত্র, ওভেন গার্মেন্টস, রাসায়নিক, চামড়া, মোটরসাইকেল, বেভারেজ টয়লেট্রিজ, নির্মাণ এবং আবাসন খাতে ব্যবসায় শীর্ষস্থানে রয়েছে এই গ্রুপ।

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং মানুষের কর্মসংস্থান তৈরিতে নুরুল ইসলাম বাবুল একজন আধুনিক চিন্তার সাহসী উদ্যোক্তা। দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সর্বশেষ করোনার চিকিৎসায় কুড়িলে ৩০০ ফিটের কাছে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ইতোমধ্যে এর প্রাথমিক আলোচনাও শেষ করেছিলেন।




Comments

Popular posts from this blog

বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ আর নেই।

মহান স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক, বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান তার মারা যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। শায়রুল কবীর আরো জানান, বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মারা যান। আগামীকাল বুধবার (১৫ জুলাই) বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। তার মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন। শাহাজাহান সিরাজ স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। উল্লেখ্য শাহজাহান সিরাজ ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে শাহজাহান সিরাজ ছাত্র-রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সেই সময় তিনি টাঙ্গাইলের করটিয়া সা’দত কলেজের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বদলীয় সমাজতান্ত্রিক সরকার গঠনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে জাতীয় সমাজতান্...

২৫ বছর বয়সের সুন্দরী যুবতী অনলাইন ফোরামে বিজ্ঞাপন পোস্ট দিয়েছিলেন যার বার্ষিক ১০০ কোটি আয়, তাকে সে বিয়ে করবে। চলুন শুনি কি বলেছিল

বার্ষিক ১০০ কোটি আয় করা বর চেয়ে অনলাইন ফোরামে বিজ্ঞাপন পোস্ট দিয়েছিলেন ২৫ বছর বয়সের সুন্দরী যুবতী পূজা চৌহান। ফোরামে পোস্টের বিজ্ঞাপনটি দেখে সুন্দরী পূজাকে বুদ্ধিদীপ্ত বা হৃদয় নিংড়ানো উত্তর দিলেন স্বয়ং ভা’রতের শীর্ষ ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। এ উত্তর এখন অনলাইন দুনিয়ায় আলোচনার ঝড় বইয়ে দিচ্ছে। অনলাইন ফোরামে পূজা চৌহান লিখেন, আমি চলতি বছর ২৫ বছরে পা দেব। দেখতে খুবই সুন্দরী, স্টাইলিশ, রুচিশীল। আমি একজন স্বামী চাই, যার বার্ষিক বেতন হবে ১০০ কোটি বা তারও বেশি। আপনি হয়তো বলবেন, আমি একটু বেশিই উচ্চাকাঙ্ক্ষী। কিন্তু বর্তমানে বার্ষিক দুই কোটি টাকা বেতনে একেবারেই মধ্যবিত্তের মতো জীবনযাপন করতে হয়। সেদিক থেকে চাহিদা একেবারেই বেশি নয় আমা’র। এ ফোরামে ১০০ কোটি টাকা বেতনের সবাই কি বিবাহিত? তিনি আরো লিখেন, কেন আপনাকে আমি বিয়ে করব? এখনো পর্যন্ত যতগুলো ডেটে গিয়েছি, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেতনের পুরুষটির বেতন ছিল বার্ষিক ৫০ কোটি টাকা। অ’তএব আমি ৫০ কোটি টাকার পর থেকেই কাউকে স্বামী হিসেবে ভাবছি। তার কারণ কেউ নিউইয়র্কের সবচেয়ে অ’ভিজাত এলাকায় বসবাস করলে বার্ষিক ৫০ কোটি টাকা বেতন একেবারেই যথেষ্ট নয়। আমি কিছু প্রশ্ন...