Skip to main content

সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের ক্রিকেট জীবনের অজানা গল্প

Asif ভাই এর ফেসবুক থেকে নেওয়া।   
_____________________________________________
আসিফ আকবর মিঠু, যিনি আসিফ আকবর নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৮৮ সালে কুমিল্লা স্টেডিয়াম ইয়ং সোসাইটি ক্রিকেট দলের পক্ষে ঐ সময়ে কুমিল্লার সবচেয়ে দ্রুত গতির বোলার পপলু ভাইয়ের বলে স্লিপে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ নেন। সেদিন আসিফ আকবরকে প্রথম দেখি। ওই বছরই নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের খেলায় তার সাথে ব্যক্তিগত পরিচয়। কুমিল্লা ক্রিকেটাঙ্গনে যে কজন সম্ভাবনাময় ক্রিকেট অলরাউন্ডার ছিলেন আসিফ আকবর ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। আসিফ আকবর স্কুলজীবন থেকেই একজন মেধাবী ক্রিকেটার হিসেবে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখেন। খুব কম ক্রিকেটারই পাওয়া যাবে যারা এত অল্প সময়ে তাদের  ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে এত সমৃদ্ধ করতে পেরেছিল।
আর আসিফ আকবর হলেন তাদেরই একজন।কুমিল্লার ইতিহাসবীদ,গবেষক ও সংগঠক আহসানুল কবীর বলেন,
আসিফ আকবর কুমিল্লাকে অন্তরের অন্তঃস্হল থেকে ধারণ করে। সে যেখানে,যে অবস্হাতেই থাকুক কুমিল্লাকে তুলে ধরবেই।এর জন্য তাকে ধন্যবাদ দিতেই হবে।

কুমিল্লা ক্রিকেটার্সের অন্যতম সেরা আবিষ্কার, ১৯৯৮ সালে  বাংলাদেশর যুবদলের হয়ে বিশ্ব যুব ক্রিকেট অংশ নেওয়া ও বর্তমানে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যানেজার আহসানউল্লাহ হাসান,
আসিফ আকবর সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন একেবার শেষ মূহুর্তে, ১৯৯১ সালে ৭ম শ্রেনিতে পড়া অবস্থায় তাকে কুমিল্লা যুবদলের নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তখন আসিফ আকবর তার বাসায় গেলে তার মা আসিফ আকবরের হাতে তাকে তুলে দেন পরবর্তীতে আসিফ আকবর তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে একটি ট্রাকস্যাুট উপহার দেন।
_____________________________________________
প্রথম ক্রিকেট ম্যাচ দেখা::

১৯৮০ সালে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় কুমিল্লা ইউনিয়ন ক্লাব এবং ইগলেস ক্লাবের ক্রিকেট ম্যাচটিই ছিল আসিফ আকবরের দেখা প্রথম ক্রিকেট বলের ম্যাচ।
তখন কুমিল্লা ক্রিকেট লীগ হতো পুলিশ লাইন মাঠে।
ঐ ম্যাচের খেলোয়ারদের মধ্যে যাদের নাম স্মরণ করতে পারলেন তারা হলেন বুদ্ধু দা, আখতার ভাই, রফিক ভাই, বিষ্ণু দা, কোহিনুর ভাই, ঝিন্টু দা,এহসান ভাই।
ঢাকা থেকে এসেছিল  জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ ও নাদির শাহ।
_____________________________________________
ক্রিকেট খেলার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠাঃ

মূলত প্রাইমারি স্কুলে পড়া অবস্থায়ই আসিফ আকবর  ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
ওই সময়ে পাড়া ভিত্তিক ক্রিকেট  ম্যাচ হতো। আসিফদের পাড়ার(আদালত পাড়া) সাথে মুন্সেফবাড়ি এলাকার প্রায়ই ৩/৫ ম্যাচের সিরিজ ক্রিকেট ম্যাচ হতো কুমিল্লা পার্কে। সিরিজ ভিত্তিক ক্রিকেট ম্যাচের প্রধান আকর্ষণ ছিল "শিল্ড"(কাঠ দিয়ে তৈরি এক ধরনের ট্রফি) বিজয়। সিরিজ বিজয়ী দল সেই "শীল্ডটির" মালিকানা লাভ করতো।
আসিফদের পাড়া ভিত্তিক সেই খেলাগুলি হতো "ডিক বলে"।
""শীল্ড ও ডিক বল"" এ দুটি বিষয় আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আসিফের সাথে কথোপকথনে এই বিষয়ে দু'টি নতুন করে মনে পরলো।
এ প্রসঙ্গে আসিফ দুজনের খেলোয়াড়ের নাম স্মরণ করলেন একজন খুব জোরে বল করতেন। তিনি কাপ্তান বাজারের এডভোকেট নাসিম ভাই আরেকজন অলরাউন্ডার বর্তমানে প্রয়াত ব্যবসায়ী মন্জু ভাই। (দুজনেই আরমানের বড় ভাই)
আর এভাবেই ধীরে ধীরে আসিফ ক্রিকেট খেলার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েন।
_____________________________________________
আসিফ আকবরের পারিবারিক পরিমণ্ডলঃ

কুমিল্লা আদালত পাড়ার বাসিন্দা আসিফ আকবরের বাবা ছিলেন প্রয়াত অ্যাডভোকেট আলী আকবর। তিনি পেশায় ছিলেন সুনামধন্য একজন আইনজীবী।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন শাস্ত্রে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
মা প্রয়াত রোকেয়া আকবর১৯৬১ সালে ঢাকা বদরুন্নেসা কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করেও তিনি ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিনী।
আসিফ আকবর মা সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন তার মা একজন গণসঙ্গীত শিল্পী ছিলেন। তিনি আজিমপুর গার্লস স্কুলের ছাত্রী ছিলেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে আজিমপুর স্কুলের গণসঙ্গীত দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
তার মা পূর্বপাকিস্তানের এ্যাথলেটিক্সের হিটেও অংশ নিয়েছিলেন।

আসিফ আকবররা ৫ ভাই ২ বোন। 

১) নিলুফার নাহাজ বিবাহিত (অর্থনীতিতে স্নাতক) 
২) আনিস আকবর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।
(চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 
অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর) 
৩) বোন রেহেনা নেওয়াজ বিবাহিত ( বিএ বিএড পরবর্তীতে এম এ ডিগ্রি লাভ করেন)
৪) আমিন আকবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে কর্মরত।
পাশাপাশি MBA ডিগ্রিও অর্জন  করেন। 
৫) আসিফ আকবর এর মতে তার ভাই আরিফ আকবর সবচেয়ে মেধাবী তিনি সকল পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে এমএ পাস করেন।
৬) আসিফ আকবর পরে বর্ণিত।
৭) আতিক আকবর সেভেন রিং সিমেন্ট কোম্পানির হেড অব ব্র্যান্ড হিসেবে কর্মরত।
( জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের IBA থেকে MBA ডিগ্রী লাভ করেন)
___________________________________________
প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা:

১৯৮৯ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে এস এস সি
 ও
১৯৯১ সালে কুমিল্লা সরকারিভিক্টোরিয়া  কলেজ হতে এইচ এস সি পাশ করেন।১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে।
_____________________________________________
ক্রিকেটার আসিফ আকবরের প্রথম কোচঃ

 জনাব এমদাদুল হক ইমদু।

১৯৮৮ সালে ঢাকায় একটি খন্ডকালীন ক্রিকেট কোচিং ক্যাম্প কিছুদিন কোচিং করেন। এটি পরিচালনা করেন জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা। ঐ সময় তার সঙ্গে আরো ছিলেন কুমিল্লা ক্রিকেটারর্সের পিয়াস ও মাসুদ আলী।
_____________________________________________
নজরকাড়া পারফরম্যান্সঃ

১৯৮৮ সালে কুমিল্লা স্টোডিয়ামে নির্মাণ স্কুল ক্রিকেটে কুমিল্লা জিলা স্কুল বনাম কুমিল্লা হাই স্কুলের একটি ম্যাচে হাই স্কুলের পেস বোলার মনসুর আলী বাকির করা একটি ওভারে  ৩ ছক্কা ও ১ চারের  সাহায্যে ২৩ রান সংগ্রহ করে একজন উদীয়মান ক্রিকেটার হিসেবে সকলের নজর কাড়েন পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালেই কুমিল্লা যুব ক্রিকেট দলে সুযোগ পান
_____________________________________________
আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে যাত্রাঃ
১)নির্মান স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-

কুমিল্লা জিলা স্কুলের হয়ে নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এর মাধ্যমে আসিফ আকবরের আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে যাত্রা শুরু।
আসিফ আকবর ১৯৮৭,১৯৮৮ এবং ১৯৮৯ এ তিন মৌসুমে কুমিল্লা জিলা স্কুলের হয়ে নির্মান স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন।
১৯৮৯ সালে আসিফের অধিনায়কত্বে কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রথমবারের মতো নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের শিরোপার স্বাদ গ্রহণ করে।

২)আন্তঃকলেজ ক্রিকেটঃ

আসিফ আকবরের অধিনায়কত্বে ১৯৯১ সালে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে  অনুষ্ঠিত আন্তঃ কলেজ ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ। আর এই চ্যাম্পিয়নশিপের একটি তাৎপর্যপূর্ন দিক হচ্ছে ১৯৭২ সালের পর অর্থাৎ ১৯ বছর পরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয়ে প্রথম
বারের মত শিরোপা ঘরে তোলে।

৩) কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট লীগঃ

১৯৮৭ সালে মাত্র নবম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় কুমিল্লা ইয়ং সোসাইটি ক্লাব এর পক্ষে খেলার মাধ্যমে আসিফ আকবর  কুমিল্লা ক্রিকেট লীগের অভিষেক হয়।

কুমিল্লা ক্রিকেট লীগে আসিফ আকবরের 
সেরা ব্যাটিংঃ

১৯৮৯ সালে কুমিল্লা ক্রিকেট লীগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবটি ছিল তারকাখচিত(ইমদু ভাই,,লিটন ভাই,নয়ন ভাই,আতিক ভাই সহ আরো অনেকে)
১৯৮৯ সালে ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও ইউনাইটেড কমার্স এর মধ্যকার খেলায় ওই সময় কুমিল্লার তারকাখচিত খেলোয়াড় নিয়ে গঠিত ব্রাদার্স ইউনিয়নের ৪৭ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর আতিক ভাই (ইলেভেন স্টার ক্লাবের ১ স্টার) ও আসিফ আকবর  খেলার হাল ধরেন। আতিক ভাই সেঞ্চুরি হাঁকান অপরাজিত থেকে এবং আসিফ ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
আতিক ভাই ও আসিফ আকবর জুটি অপরাজিত থেকে ১৭১ সংগ্রহ করে ইনিংস শেষে দলের রানকে ২১৮ রানে নিয়ে যেতে সক্ষম হন।
দলের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে করা
আসিফ আকবর ঐ ৫৭ রান কুমিল্লা লীগে আসিফ আকবরের সর্বোচ্চ রান হিসেবে উল্লেখ করেন।

সেরা বোলিংঃ
১৯৯১ সালে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে ইউনাইটেড কমার্স ক্লাবের এর বিপক্ষে ২৭ রানে ৬ উইকেট লাভ করেন। যা লীগে আসিফ আকবরের সেরা বোলিং হিসেবে বিবেচিত।

৪)চট্টগ্রাম লীগে খেলাঃ
ওই সময় একটা নিয়ম ছিল কেউ যদি ঢাকা থেকে আগে খেলে তাহলে ঐ খেলোয়ার চট্টগ্রাম লীগে খেলতে পারবে না। 
ফলে ওই সময়ে আসিফ আকবরের ক্রিকেট কোচ জনাব এমদাদুল হক ইমদু আসিফ আকবরকে চট্টগ্রামের বার্ডস বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে খেলার সুযোগ করে দেন। ১৯৯১-৯২ এই দুই বৎসর আসিফ আকবর সুনামের বার্ডস বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে খেলেন।
পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে দল পরিবর্তন করে আসিফ আকবর  রাইজিং স্টার  ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন।

আসিফ আকবরের সেরা খেলাঃ

বার্ডস বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের  হয়ে অভিষেক ম্যাচে অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স এর মাধ্যমে ৭৮ রান  ও ৪ উইকেট লাভ করে শক্তিশালী এলিট পেইন্টস ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে দলকে জয়লাভ করতে সাহায্য করেন।
সেই ম্যাচটি আসিফ আকবরের ক্রিকেট জীবনে সেরা ম্যাচ হিসেবে বিবেচিত।
_____________________________________________
স্মরণীয় খেলা ও মধুর বেদনাঃ

কুমিল্লা জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত মাসুদ স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের একটি খেলা। খেলায় অংশ নিয়েছিল কুমিল্লা ক্রিকেটার্স বনাম ইলেভেন ব্রাদার্স ক্রিকেট ক্লাব।
কুমিল্লা ক্রিকেটার্স আসিফের নিজের দল এবং সে নিজে ঐ সময়  সাংগঠনিক ভাবে কুমিল্লা ক্রিকেটার্স এর সেক্রেটারী ছিলেন।অপরপক্ষে ইলেভেন ব্রাদার্স ক্রিকেট ক্লাব তার পাড়ার দল। এই উভয় সংকটের মধ্যে পরে সে তার পাড়ার দলে খেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।।

স্মরণীয় বিষয়টি ছিল খেলার
এক পর্যায়ে ১৭ রানে ৫ উইকেট পরে যাবার পর আসিফ আকবর এবং উল্লাস জুটি অপরাজিত থেকে ৪০ ওভার শেষে দলের রানে ১৩৭ রানে নিয়ে যায় এবং আসিফ আকবর প্রয়োজনীয় মুহুর্তে ৫০ রানের একটি দৃষ্টিনন্দন ইনিংস খেলেন।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে ওই সময়ের আলোচিত ব্যাটিং অলরাউন্ডার জনাব এমদাদুল হক ইমদুর এক ওভারে তিনটি ছক্কা হাকান যার একটি জিলা স্কুল মাঠ সংলগ্ন রাস্তার ওপারে শ্রী অয়েল মিল (বর্তমানে বিলুপ্ত)উপরে গিয়ে পরে।

মধুর বেদনাঃ

খেলায় আসিফের দল ইলেভেল ব্রাদার্স জয়লাভ করে কুমিল্লা ক্রিকেটার্স বিপক্ষে
১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ইলেভেন ব্রাদার্সকে জয়লাভে সাহায্য করেন তারই  দলের সতীর্থ খেলোয়ার তারেক আহমেদ চৌধুরি।( বর্তমানে আয়ারল্যান্ডের একটি  বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন) দলের জয়ে বিশেষ  ভূমিকা রাখার জন্য তারেক ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়।
অপরদিকে দলের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আসিফ আকবর ৫০ রান করার পরেও  ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার থেকে বঞ্চিত হওয়ার স্মৃতিটি মধুর বেদনা হিসেবে উল্লেখ করেন।
_____________________________________________
কুমিল্লা যুব ক্রিকেট দলে আসিফ আকবরঃ
_____________________________________________
ঘটনা প্রবাহঃ
_____________________________________________
# ১৯৯২ তে দলের সিনিয়র খেলোয়ার হয়েও অধিনায়কত্ব না পাওয়া।#ঐ বছর  ফাইনাল রাউন্ডের একমাত্র হ্যাটট্রিক# বিবাহিত হয়েও যুব ক্রিকেট খেলার সৌভাগ্য লাভ।
_____________________________________________
১৯৮৮সাল থেকে ১৯৯২-৯৩ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট যুবদলের নিয়মিত খেলোয়াড় ছিলেন আসিফ আকবর।

১)১৯৮৮ সালে ঢাকা জোনে প্রথম খেলায় মাদারীপুরের কাছে হেরে বিদায় নিলেও আসিফ আকবর ৩৫ রান ও ৩ উইকেট নিয়ে দলের অলরাউন্ডার হিসাবে নিজের সামর্থ্যের জানান দেন।
অধিনায়কঃ তাহের উদ্দিন ভূঁইয়া মামুন।
কোচঃজনান তরিকুল ইসলাম অসি।
ম্যানেজারঃ প্রয়াত নাজিম উদ্দীন খসরু। 
২)১৯৮৯-৯০ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় যুব ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপে বরিশালে জোনে যশোর কে হারিয়ে কুমিল্লা জেলা যুব ক্রিকেট দল জোনাল চ্যাম্পিয়ন হয়।  পরবর্তীতে
১৯৮৯-৯০ সালের জাতীয় যুব ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল রাউন্ড রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম খেলায় চট্টগ্রামে জেলা যুব ক্রিকেট দলের কাছে হেরে বিদায় নেয় কুমিল্লা জেলা যুব ক্রিকেট দল।
অধিনায়কঃ তাহের উদ্দিন ভূঁইয়া মামুন।
কোচঃ জনাব তরিকুল ইসলাম অসি। 
ম্যানেজারঃ প্রয়াত নাজিম উদ্দীন খসরু।
৪)১৯৯১ সালে বরিশালে জোনে জাতীয় যুব ক্রিকেটের জোনাল চ্যাম্পিয়নশিপে কুমিল্লা জেলা যুব ক্রিকেট দলের হয়ে মাত্র ৭ম শ্রেনীতে পড়া অবস্থায় আহসান উল্লাহ হাসানের অভিষেক হয়। এপ্রিল এর প্রথম সাপ্তাহে অনুষ্ঠিত ফাইনালে কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট  দল ঝালকাঠি জেলা ক্রিকেট দলকে পরাজিত জোনাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে করে।
 ওই ফাইনাল খেলায় আহসান উল্লাহ হাসান ১২ রানে চার উইকেট লাভ করে এবং  ৬৭ রান করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার লাভ করে বরকত উল্লাহ শিপন। পরবর্তীতে
ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামে। ওই বছরে সংঘটিত প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের কারনে  ঢাকা জেলা যুব দলের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নিশ্চিত জয়ী ম্যাচ স্থগিত হয়ে যায়। 
ঐ খেলাটি পুনরায় ঢাকা স্টেডিয়ামে  অনুষ্ঠিত হলে কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দল ঢাকা জেলা ক্রিকেট দলের নিকট পরাজিত হয়ে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয়।
অধিনায়কঃ সাফায়ত কিরন।
কোচঃ জনান তরিকুল ইসলাম অসি 
ম্যানেজারঃ জনাবআব্দুল হান্নান গনি।
১৯৯২-৯৩ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় যুব ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশীপে ঝিনাইদহ জোনের জোনাল  চ্যাম্পিয়ানশীপের ফাইনালে শক্তিশালী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ক্রিকেট দলকে পরাজিত করে কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। ফাইনাল খেলায়  বরকত উল্লাহ শিপন ৪৯ রান এবং ২  উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে
ফাইনাল রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয় ঢাকায়। ফাইনালে ঢাকার কাছে পরাজিত হয়ে কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট যুবদল দ্বিতীয় দেশ সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল।

ফাইনাল রাউন্ডের একটি খেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে বোলিংয়ে আসিফ আকবর হ্যট্রিক করার গৌরব অর্জন করে ৪ উইকেট লাভ করেন। 
ওই বছর ফাইনাল রাউন্ডে আসিফ আকবরই একমাত্র  বিবাহিত খেলোয়াড় ছিলেন।
অধিনায়কঃ তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া লিপু
কোচঃজনাব কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া লিটন
ম্যানেজারঃ জনাব আব্দুল হান্নান গনি।
_____________________________________________
কুমিল্লা জেলা সিনিয়র ক্রিকেট দলঃ

১৯৯৩ সালে চাঁদপুর এ প্রয়াত ঝিন্টুদার অধিনায়কত্বে আসিফ আকবর একবারই কুমিল্লা জেলা সিনিয়ার ক্রিকেট দলে অংশগ্রহণ করেন।
_____________________________________________
কুমিল্লা ক্রিকেট লীগের একজন সফল অধিনায়ক আসিফ আকবরঃ

আসিফ আকবরের অধিনায়কত্বে নিম্নলিখিত দলগুলো কুমিল্লা ক্রিকেট লীগে ৭(সাত)বার চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে। 

১) ৩ (তিন)বার ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্রিকেট ক্লাব।
২) ২ (বার) ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট ক্লাব।
৩) ১ (বার) মনিপুরী এ সি 
৪) ১ (বার) ইউনাইটেড কমার্স ক্রিকেট ক্লাব।

১৯৯২ সালে সিরিয়াসলি ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ালেও ক্রিকেটের মায়া ত্যাগ করতে পারেননি। 
তাই শিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশের পরেও আসিফ আকবরের অধিনায়কত্বে তার দল তিনবার সহ মোট সাতবার কুমিল্লা ক্রিকেট লীগের ভিন্ন ভিন্ন দলে শিরোপার স্বাদ গ্রনহ করেন।
_____________________________________________
ক্রিকেটের দুঃখের স্মৃতিঃ

আসিফ আকবরের অধিনায়কত্বে
নির্মান স্কুল ক্রিকেটে কুমিল্লা জিলা স্কুল, 
আন্তঃকলেজ ক্রিকেটে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ এবং কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট লীগে বিভিন্ন দল সাত বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করার পরেও কুমিল্লা জেলা যুব  ক্রিকেট দলের কিংবা কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট দলের অধিনায়কত্ব করতে না পারাটা ছিল ক্রিকেটার আসিফ আকবরের ক্রিকেট জীবনের সবচেয়ে দুঃখের বিষয়।
_____________________________________________
কুমিল্লা ক্রিকেটার্সঃ

১৯৮৭ সালে জনাব ইমদাদুল হক ইমদু প্রতিষ্ঠা করেন কুমিল্লা ক্রিকেটার্স নামে ক্রিকেট কোচিং একাডেমি সেখান থেকে আসিফ আকবরের প্রাতিষ্ঠানিক ক্রিকেট শিক্ষা শুরু।
ঐ সময়ে তার সাথে আরো যারা ছিলেন,হাবিব,মাসুদ আলী,বড় হাসান, পিয়াস,মোর্শেদ,আব্দুল মুকিত টিপু, আসিফ তরুনাভ,কাজী মেহবুব,মতি,বুলবুল MKK ইমন, সাঈদ, রোমেল,পাপ্পু, আনিসুল হাকিম,,বরকত উল্লাহ শিপন উল্লাস,ব্গলু,লিপু,আরমান,
সার্জেন্ট টিপু, আহসানউল্লাহ হাসান, লেলিন,সালাউদ্দিন সোহেল,পলাশ,ওয়াকার ইমন,অনু, রানা, সুজন, সানি,খোকা, মার্শাল শিপন,মুন্না,খলিফা,কামাল,ওয়াসেল,শান্ত,কিপার ইমন,জিন মনি,জেমস,সীমু,আলআমিন,
জহির,সাইফুল ইসলাম বাবু,ইদি আমিন টিপু,আজহার বাবু,সিহান,সোয়েব সাফি, আহম্মেেদ, মুগনি সহ আরো অনেকে।
_____________________________________________
একই সাথে খেলোয়াড়, সংগঠক ও কোচঃ

আসিফ আকবর ছিলেন কুমিল্লা ক্রিকেটার্সের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। 
কুমিল্লা ক্রিকেটার্সের প্রধান কোচ জনাব এমদাদুল হক ইমদু  ইংল্যান্ডে প্রায়ই কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে যেতেন। 
সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে প্রধান কোচের পরামর্শক্রমে আসিফ আকবরকে কুমিল্লা ক্রিকেটার্সের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হতো। সেই সাথে কোন কোন খেলোয়ার লীগে কোন কোন দলে খেলবে সেই সিদ্ধান্তও ঐ সময় তাকে দিতে হতো।
জনাব ইমদাদুল হক ইমদুর অনুপস্থিতিতে কুমিল্লা ক্রিকেটার্সের কোচিং এর বিভিন্ন বিষয় তাকেই
দেখাশোনা করতে হতো।
পাশাপাশি একজন খেলোয়াড় হিসেবে নিজের খেলাটাও তাকে খেলতে হতো।
_____________________________________________
ঢাকা ক্রিকেট লীগঃ

ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগে এক বছর খেলার পর
১৯৯২ সালে অাসিফ আকবর কোচ জনাব এমদাদুল হক ইমদুর তাকে বাংলাদেশ বিমানে 
রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ করে দেন। 
কিন্তু তরুন বয়সে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে যাওয়া আসিফ আকবর তার প্রতিশ্রুতিশীল ও সম্ভাবনাময় ক্রিকেট খেলোয়ারী জীবনকে আর বেশি দূর এগিয়ে নিতে যেতে পারেননি।
 বিবাহোত্তর জীবনের দায়িত্ববোধ এবং উচ্চতর পড়াশোনা কে গুরুত্ব দিতে গিয়ে আসিফ তার বর্ণময় ক্রিকেট জীবনের ইতি টানেন।
সেই সাথে কুমিল্লার ক্রিকেটাঙ্গন হারায় একজন উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় ক্রিকেট অলরাউন্ডারকে।






উপসংহারঃ
আমাদের কুমিল্লার গর্ব আসিফ আকবরের  ক্রিকেট জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করলাম।
আসিফ আকবর ছোটবেলা থেকেই নেতৃত্বের গুণাবলী নিয়ে বেড়ে উঠেছিলেন সময় এবং পরিবেশ কখনো কখনো তার নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত হতে বাধাগ্রস্ত করলেও মহান আল্লাহর অশেষ কৃপায় বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গীত জগতের একজন সুপার ডুপার অধিনায়ক আমাদের এই আসিফ আকবর

আসিফ আকবরের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণময় জীবন কামনা করছি।

Comments

Popular posts from this blog

করোনাভাইরাসে প্রভাবে দেশে ফেরা প্রবাসীরা সহজ শর্তে ও কম সুদে লোন পাবেন ১৫ জুলাই থেকে

করোনাভাইরাসে প্রভাবে দেশে ফেরা প্রবাসীরা সহজ শর্তে ও কম সুদে লোন পাবেন ১৫ জুলাই থেকে । ১ মার্চ এর পরে দেশে ফেরা প্রবাসীরা এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। একই সাথে প্রবাসে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের পরিবারের সামর্থবান একজন সদস্যও এই লোনের সুযোগ পাবেন। রবিবার ( ১২ জুলাই ) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থ মন্ত্রী ইমরান আহমদ আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। স্বাক্ষরিত এই সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক-কে ২০০ কোটি টাকা বিনা সুদে ঋণ হিসেবে প্রদান করবে এবং ব্যাংক উক্ত তহবিল থেকে ৪ শতাংশ সরল সুদে গ্রাহকদের বিনিয়োগ ঋণ প্রদান করবে। বৈধভাবে বিদেশে গমনকারী কর্মী বা বিদেশ থেকে বৈধভাবে রেমিটেন্স প্রেরণ করেছেন এমন কর্মী এবং করোনায় মৃত কর্মীদের পরিবার এই ঋণ পাওয়ার জন্য উপযুক্ত বিবেচিত হবেন। এই ঋণ প্রদান ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম এ বিষয়ে প্রণীত নীতিমালা অনুযায়ী সম্পাদিত হবে। দ্রুত, দক্ষ ও স্বচ্ছ ঋণ ব্যবস্থাপনা কার্

বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ আর নেই।

মহান স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক, বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান সিরাজ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান তার মারা যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। শায়রুল কবীর আরো জানান, বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি মারা যান। আগামীকাল বুধবার (১৫ জুলাই) বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে। তার মৃত্যুতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন। শাহাজাহান সিরাজ স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। উল্লেখ্য শাহজাহান সিরাজ ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে শাহজাহান সিরাজ ছাত্র-রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সেই সময় তিনি টাঙ্গাইলের করটিয়া সা’দত কলেজের ছাত্র ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পর সর্বদলীয় সমাজতান্ত্রিক সরকার গঠনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে জাতীয় সমাজতান্

দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের জানাজা।

দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বেলা পৌনে ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক মসজিদ প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু, সহকর্মী, গুণগ্রাহীসহ অসংখ্য মানুষ অংশ নেন। তবে করোনার কারণে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে জানাজা সম্পন্ন করতে হয়েছে। দাতব্য সংস্থা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে নুরুল ইসলাম বাবুলকে গোসল করানো হয়। বনানী কবরস্থানে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার মরদেহ দাফন করা হবে। তবে চলমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দাফনের সময় পরিবারের সদস্য ছাড়া কেউ থাকবে না। জানাজার আগে মরহুমের জন্য দোয়া কামনা করেন তার ছেলে যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম। তিনি তার বাবার পক্ষ থেকে সবার কাছে ক্ষমা চান। পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনে তার কাছে ব্যবসায়িক ও নিজস্ব কোনো দেনা-পাওনা থাকলে তাও পরিশোধ করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। গত ১৪ জুন নুরুল ইসলাম বাবুলের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। ওইদিনই তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনায় তার কিডনি ক